কুয়োর ব্যাঙটি (পেপারব্যাক)
কুয়োর ব্যাঙটি (পেপারব্যাক)
৳ ৭৫   ৳ ৬৮
৯% ছাড়
1 টি Stock এ আছে
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

এই বইটি এক কুয়োর ব্যাঙকে নিয়ে লেখা। সে নিজের কুয়োবাড়িতে
বাস করে, ভরপেট পোকা খায় আর ঘরের বড় আয়নায় ঘুরেফিরে
নিজেকেই দ্যাখে সারাদিন। কুয়োবাড়ির বাইরের দুনিয়ায় কি আছে
তা নিয়ে তার কোনোই আগ্রহ নেই।
সত্যজিৎ রায়ের আগন্তুক দাদুটিকে মনে আছে তো? দাদুটি
শিখিয়েছিলেন সাত্যকিবাবু যেন জীবনে কক্ষনো ‘কূপমণ্ডূক’ অর্থাৎ
কুয়োর ব্যাঙ না হয় । জীবনে কী হতে হবে তেমন বড় কোনো বিষয়ে
দাদু একটিবারও কথা বলেননি। কিন্তু তাহলে জীবনে কক্ষনো কী
হওয়া যাবে না—সেই কথা দাদু কেন বলতে গেলেন? এই প্রশ্নের
উত্তর নিজে নিজে খুঁজে নিতে পারলেই সবচেয়ে ভালো হয়।
লেখক চৈতী রহমান বেড়ে উঠেছেন ঢাকার মনখারাপ-করা
অপরিসর অলিগলিতে। পড়ালেখা অর্থনীতির মতো বড়দের বিষয়ে
হলেও ভালোবাসা আটকে আছে শৈশব আর চায়ের কাপে। শৈশব
থেকে আজ অব্দি তার মুগ্ধতার আকাশ ছাওয়া – রূপকথা দিয়েই ৷ তিনি
আজও এলিসের মতো খরগোশের গর্তে পড়ে যেতে চান, বের হতে চান
মস্কোর ফুটপাথের কোনো এক মাত্ৰুশকা পুতুলের পেট থেকে। বিশ্বাস
করেন যে বাড়িতে সবারই দুটো বর্ষাতি রাখা উচিত, যাতে দুটো পরী
বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে হাজির হলে তাদের সাহায্য করা যায়।

Title : কুয়োর ব্যাঙটি
Author : চৈতী রহমান
Publisher : দুন্দুভি
ISBN : 9789849319900
Edition : 1st Edition, 2018
Number of Pages : 47
Country : Bangladesh
Language : Bengali

চৈতী রহমানের জন্ম মার্চ ১৯৮৭, ফরিদপুরে। বেড়ে ওঠা ঢাকার মনখারাপ করা অলিগলিতে। লেখাপড়া অর্থনীতি বিষয়ে ও পরবর্তীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়। চা তাঁর ভারি পছন্দ, ঠিক যেন হাঁস। এলিসের মতন খরগোশের গর্তে পড়ে যেতে পারলেই খুশি, বের হবেন গিয়ে এক্কেবারে মস্কোর ফুটপাথে রঙিন এক মাত্রুশকার পেট থেকে। বিশ্বাস করেন যে—বাড়িতে দুটো বর্ষাতি রাখা দরকার যাতে দুটি পরী বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে হাজির হলে তাদের সাহায্য করা যায়। বাপের কাছে তাঁর পাওয়া মন্ত্র ‘চরৈবেতি চরৈবেতি’ মানে ‘স্থির থেকো না, এগিয়ে চল’। কেজো পড়ালেখা আর রোজগেরে ব্যস্ততার মাঝেও বন্ধুর সাথে সবজে পাহাড়ে দাঁড়িয়ে ধলা পর্বত দেখতে ছুট দেওয়ার জন্য জামার আস্তিন গুটানোই থাকে সারাবছর। তাঁর বেড়ালছানার নাম—মিশকা। মিশকার লোম ছেয়ে শাদায় ছোপানো। তিনি ‘বড়োমানুষ’ হতে ভয় পান। কারণ বড়োরা কিছুই বুঝতে চায় না, কিছুই দেখতে চায় না। ঠিক ওই প্লেনের ডানা ভেঙে পড়ে যাওয়া পাইলট যেমন বলেছিলেন ‘ছোট্ট রাজপুত্র’ গল্পে। সেই দুর্ভাগা পাইলট ছোটোবেলায় এঁকেছিলেন এক বোয়া কন্সট্রিক্টর সাপ যে কিনা মাত্রই গিলে খেয়েছে এক হাতিকে, তাই ফোলা পেট নিয়ে পড়ে আছে ছয় মাস ধরে হজম করার জন্যে। আর বড়োরা কিছুতেই তা মানতে চাইছিল না। তারা কেবলই বলেছিল যে সে নাকি এঁকেছে একটা হ্যাট! মনের সব রঙ মনেই আটকে রেখে তাই সে নিজেও হয়ে উঠল একজন বড়োমানুষ। কার্যকারণ ছাড়া যে কিছুই করে না, টাকার অংকে না বুঝিয়ে বললে যে কিছুই বোঝে না—তেমন একজন বড়োমানুষ। তাঁর ভাষ্যমতে, আপাতদৃষ্টে ‘বড়োমানুষেরা’ যাকে সফলতা বলে মনে করে সেইরকম একটা দেখনসই নামডাক, খুব প্রতিযোগিতায় লড়ে যোগাড় করা গেলেই তা জীবনকে খুব অর্থবহ করে তুলবে—এমনটা সবার ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। বরং আপাত ক্ষুদ্র কোনো ভালোবাসার কাজে নিজেকে উজাড় করে দিয়েও জীবনকে মঙ্গলময় আর অর্থবহ করা সম্ভব। যেহেতু জীবনের অর্থ একেকজনের কাছে একেকরকম।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]